বোটানি প্র্যাকটিকেল ( বাংলায় ) BSc Tripura University
Algae spotting:
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) অনেক গুলো কোষ সাইটোপ্লাজমের সূত্র দ্বারা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিনোবিয়াম তৈরি করেছে।
(২) অঙ্গজ কোষ গুলো ন্যাসপাতি আকারের ।
(৩) প্রতি কোষের অগ্রভাগে দুটি করে ফ্ল্যাজেলা আছে।
(৪) সিনোবিয়ামের ভেতরে ছোট ছোট কলোনী আছে।
সুতরাং,প্রদত্ত নমুনা Volvox এর অপত্য কলোনী সহ একটি সিনোবিয়াম।
Specimen:
(১) থ্যালাস শাখাহীন,সূত্রাকার ও সারিবদ্ধ সবুজ কোষ দিয়ে গঠিত।
(২) ফিলামেন্টের কোষগুলো দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বেশি।
(৩) কিছু কিছু নিবেশিত কোষে টুপি দেখা যায়।
(৪) ফিলামেন্টের কয়েকটি কোষ ফোলা ও গোলাকার।
সুতরাং, স্পেসিমেনটি Oedogonium এর উগোনিয়াম সহ একটি ফিলামেন্ট ।
Specimen:
সনাক্তকরণ:
(১) এক সারিতে সাজানো কোষ বিশিষ্ট শাখাহীন সূত্রাকার ফিলামেন্ট।
(২) কোষগুলির দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বেশি।
(৩) নিবেশিত গোলাকার স্ফীত ওগোনিয়াম আছে।
(৪) ওগোনিয়ামের নীচেই সহায়ক কোষের প্রাচীরে খর্বাকার পু়ং ফিলামেন্ট আবদ্ব আছে।
অতএব, এইটি Oedogonium এর খর্বাকার পু়ং ফিলামেন্ট সহ একটি ন্যানান্ড্রাস প্রজাতির ফিলামেন্ট।
Specimen:
(১) ফিলামেন্ট বহুস্তরী ,দ্ব্যগ্র শাখাবিন্যাসযুক্ত।
(২) ফিলামেন্টের সাথে একটি পেয়ালা আকৃতির অঙ্গ লেগে আছে।
(৩) গঠনটি দ্বিস্তরী পেরিকার্প দিয়ে আবৃত।
(৪) গঠনের উপরিভাগে ওস্টিওল নামক মুখ/ছিদ্রের আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Polysiphonia নামক শৈবালের সিস্টোকার্প।
Specimen:
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) ফিলামেন্ট বহুস্তরী, দ্ব্যগ্র শাখাবিন্যাস সহ ট্রাইকোব্লাস্ট যুক্ত।
(২) ফিলামেন্টের ভিতরে সারিবদ্ধভাবে গোলাকার অঙ্গ আছে।
(৩) প্রতি গোলাকার অঙ্গে ৪টি করে গোলাকার রেণু আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Polysiphonia এর টেট্রাস্পোরাঞ্জিয়া সহ টেট্রাস্পোরোফাইট।
Algae Workouts
Specimen:1
(১) থ্যালাসটি শাখাহীন ও সূত্রাকার।
(২) অনেক গুলো বেলনাকার কোষ সারিবদ্ধভাবে প্রান্ত দিয়ে যুক্ত হয়ে থ্যালাসটি তৈরি করেছে।
(৩) সূত্রটির পশ্চাদভাগ ও অগ্রভাগ সুস্পষ্ট।
(৪) পশ্চাদ ভাগে সর্ব নিম্ন কোষকে হোল্ডফাস্ট বলে।
(৫) অগ্রভাগের সর্বশেষ কোনটি গম্বুজ সদৃশ ।
(৬) সূত্রের মাঝের কোষ গুলোকে নিবেশিত কোষ বলে।
(৭) প্রতি কোষের দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বেশি।
(৮) কয়েকটি কোষের মাথায় টুপি আছে।
একটি ফিলামেন্টেই বা আলাদা ফিলামেন্টে পু়ং ও স্ত্রী জননাঙ্গ তৈরী হয়।
জনন অঙ্গের বর্ণনা:
(ক) পু়ংধানী:
(১) সাধারণ ফিলামেন্টের কয়েকটি নিবেশিত কোষ ঘন ঘন প্রস্থপ্রাচীর দেখা যায়।
(২) প্রতিটি ছোট ছোট কোষ একটি পু়ংধানী।
(খ) স্ত্রীধানী/ওগোনিয়াম:
(১) সাধারণ ফিলামেন্টের কয়েকটি নিবেশিত কোষ স্ফীত ও গোলাকার হয়।
(২) এই কোষ স্ত্রীধানী ও প্রোটোপ্লাস্ট সংকুচিত।
(৩) কোষের একপাশে বর্ণহীন গ্রাহীবিন্দু আছে।
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) দেহ শাখাহীন ও সূত্রাকার।
(২) ফিলামেন্টে হোল্ডফাস্ট, নিবেশিত কোষ,জনন কোষ, টুপিকোষ ও গম্বুজাকার প্রান্তীয় কোষ আছে।
(৩) কোষের দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বেশি।
(৪) ওগোনিয়াম ও অ্যানথেরিডিয়া সাধারণ ফিলামেন্টেই তৈরী হয়।
সুতরাং প্রদত্ত থ্যালাসটি পু়ং ও স্ত্রী জননাঙ্গ সহ Oedogonium নামক সবুজ শৈবালের ম্যাকরেন্ড্রাস প্রজাতি নির্দেশ করে।
Specimen:3
(১) অমসৃণ থ্যালাস পর্ব ও পর্বমধ্যে বিভক্ত।
(২) থ্যালাসের শাখা দুই প্রকারের: অসীম বৃদ্ধিসম্পন্ন ও সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন।
(৩) সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন শাখার পর্বে অনেকগুলো এককোষী স্টিপিউলোড , একটি লম্বাটে অঙ্গ ও তার নিচে একটি গোলাকার অঙ্গ আছে।
(৪) একটির পর একটি লম্বাটে কোষ জোড়া লেগে ফিলামেন্ট তৈরি হয়েছে।
জনন অঙ্গের গঠন:
(ক) পু়ং জনন অঙ্গ:
(১) সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন শাখার পর্বে নিচের দিকে গোলাকার একটি অঙ্গ বৃন্তের দ্বারা লেগে আছে। একে গ্লোবিউল বলে।
(২) ৮ টি শিল্ডকোষ গোলকের নিয়ে গঠন।
(খ) স্ত্রী জননাঙ্গ:
(১) গ্লোবিওলের উপরে পর্বের উপরের দিকে একটি লম্বাটে অঙ্গ বৃন্তের দ্বারা লেগে আছে। একে নিকিউল বলে।
(২) নিকিউলের মাথায় ৫ কোষের প্রান্তীয় অংশ দিয়ে তৈরি করোনা বা মুকুট আছে।
(৩) নিকিউলকে ৫ টি কোষ বেষ্টন করে আছে, যাদের মাথা করোনা তৈরি করেছে।
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) থ্যালাস পর্ব ও পর্বমধ্যে বিভক্ত।
(২) সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন শাখার পর্বে উপরে নিকিউল ও নিচে গোলাকার গ্লোবিউল আছে।
সুতরাং প্রদত্ত থ্যালাসটি নিকিউল ও গ্লোবিউল বহনকারী Chara শৈবাল ।
Specimen:4
(১) দেহ সূত্রাকার ও অসম প্রকৃতির অংশ সমূহ নিয়ে তৈরি।
(২) দেহের নিম্নাংশের শায়িত একসারি কোষ থেকে ঋজু ও খাড়া কোষসারি লেগে শাখা তৈরি করেছে।
(৩) শাখাগুলোর প্রান্তভাগ সরু হয়ে শেষ হয়েছে।
(৪) ফিলামেন্টের গায়ে বৃন্তের দ্বারা গোলাকার এবং লম্বাটে ও সরু প্রান্ত বিশিষ্ট অঙ্গ লেগে আছে।
(৫) ফিলামেন্ট মনোসাইফনাস , অর্থাৎ এক কোষ সারি দিয়ে গঠিত।
জনন অঙ্গের বর্ণনা:
(ক) এক কক্ষ বিশিষ্ট গঠন:
(১) থ্যালাসে এক বা দুই কোষী বৃন্তের দ্বারা একটি গোলাকার অঙ্গ লেগে আছে।
(২) অঙ্গটি এক কক্ষ বিশিষ্ট ।
সুতরাং এই অঙ্গটি এককক্ষ বিশিষ্ট রেণুস্থলি।
(খ) বহুকক্ষ বিশিষ্ট গঠন:
(১) এক বা একাধিক কোষের বৃন্তের দ্বারা লম্বাটে ও সরু প্রান্ত বিশিষ্ট অঙ্গ লেগে আছে।
(২) অঙ্গটি বহুকাক্ষীক ।
সুতরাং অঙ্গটি বহুকাক্ষীক রেণুস্থলি।
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) থ্যালাসটি সূত্রাকার , অসম শাখা যুক্ত ও মনোসাইফনাস।
(২) একটি করে সারিবদ্ধ কোষ নিয়ে থ্যালাসটি গঠিত।
(৩) থ্যালাস শায়িত ও ঋজু অংশে বিভেদিত।
(৪) থ্যালাসের গায়ে দুই প্রকারের রেণুস্থলি আছে।
সুতরাং থ্যালাসটি Ectocarpous নামক শৈবালের অযৌন জননকারী রেণুধর গঠনকে নির্দেশ করে।
Fungi
Spotting:
Specimen No:
সনাক্তকরণ:
(১) কাষ্ঠল, চামরা সদৃশ,পুরু।
(২)একদিকে ছোট বৃন্ত আছে ও অপরদিকে অর্ধবৃত্তাকার চ্যাপ্টা অংশ আছে।
(৩) পৃ্ষ্ঠদেশে অনেক গুলো ব্র্যাকেটের মতো রেখা আছে।
(৪) নিম্নতলে অনেক ছিদ্র আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Polyporous এর ফলদেহ।
Specimen No:
(১) স্লাইডে দেখা ছিদ্রের গুলো প্রায় গোলাকার।
(২) বেসিডিয়া, প্যারাফাইসেস ও বন্ধ্যা হাইফিগুলি ছিদ্রনলের সঙ্গে সমকোণ করে আছে।
(৩) প্রতি বেসিডিয়ামে চারটি করে স্টেরিগমাটা আছে।
(৪) প্রতি স্টেরিগমাটা একটি করে বেসিডিও রেণু বহন করে।
সুতরাং, প্রদত্ত স্লাইড Polyporous এর ফলদেহ এর প্রস্থচ্ছেদ।
Specimen No:
(১) গঠনটিতে উল্লম্বভাবে চারটি স্তর আছে।
(২) দ্বিতীয় স্তরটি ঘন সন্নিবিষ্ট হাইফি নিয়ে গঠিত ।
(৩) তৃতীয় স্তরে অনেক গুলো উল্লম্ব নালী দেখা যায়।
(৪) প্রথম স্তরের তুলনায় সর্বনিম্ন স্তর গাঢ় ।
সুতরাং, প্রদত্ত স্লাইড নমুনাটি Polyporous এর ফলদেহের লম্বচ্ছেদ।
Bryophyta Spotting:
Specimen No.1
সনাক্তকরণ:
(১) বিষমপৃষ্ঠ দ্বগ্রশাখা বিশিষ্ট থ্যালাস।
(২) পৃ্ষ্ঠদেশের মাঝে খাঁজ আছে,তবে অন্য কোন অঙ্গ নেই।
(৩)অঙ্কপৃষ্ঠে অনেক রাইজয়েড ও স্কেল আছে।
(৪) রাইজয়েড এককোষী ও স্কেল বহুকোষী।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Riccia এর লিঙ্গধর থ্যালাস।
Specimen No.2
সনাক্তকরণ:
(১) থ্যালাস অর্ধচন্দ্রাকৃতি, মাঝখানে চওড়া ।
(২) নিচের দিকে কোষান্তর রন্ধ্রহীন, বর্ণহীন অঞ্চল ও উপর দিকে সবুজ খাড়া ফিলামেন্ট অঞ্চল আছে।
(৩) থ্যালাসের মাঝে গোলাকার, পদ ও সিটাহীন রেণুধর আছে।
(৪) ইলেটার নেই, কেবলমাত্র অনেক রেণুচতু্ঃষ্ঠয় আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত স্লাইড Riccia এর রেণুধরের লম্বচ্ছেদ।
Specimen No.3
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) গঠনটি দেখতে পেয়ালা আকৃতির।
(২) পেয়ালার ভেতরে এককোষী বৃন্তের উপরিভাগে দুই পার্শ্বীয় খাঁজ বিশিষ্ট প্রায় গোলাকার গঠন আছে।
(৩) পেয়ালার বাইরে দুই পাশে সবুজ সালোকসংশ্লেষকারী ও তার ভেতরে বর্ণহীন সঞ্চয়ী গঠন আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Marchentia এর গেমাকাপের লম্বচ্ছেদ।
Specimen:4
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১)গঠনটিতে পদ ও ক্যাপসিউল আছে।
(২) পদ ও ক্যাপসিউলের মাঝে ভাজককলার স্তর আছে।
(৩) গোলাকার পদকে ঘিরে আবরণ আছে।
(৪) লম্বাটে গঠণটির প্রাচীর বহুস্তরী ।
(৫) গঠনের মাঝামাঝি স্থানে বহুস্তরী কলুমেলা আছে।
(৬)কলুমেলাকে ঘিরে রেণু,রেণুমাতৃকোষ ও সিউডোইলেটর আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Anthoceros এর রেণুধরের লম্বচ্ছেদ।
Specimen: 5
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) গঠণটির সিটি, অ্যাপোফাইসিহ, থিকা ও অপারকুলামে বিভেদিত।
(২) সবুজ অ্যাপোফাইসিসের প্রাচীরে পত্ররন্ধ্র আছে।
(৩) থিকার ঠিক মাঝের কলুমেলাকে ঘিরে রেণুস্থলি ও তার বাইরে স্পঞ্জীস্তর আছে।
(৪) স্পঞ্জীস্তর ও রেণুস্থলিকে যুক্তকারী ট্রাবিকিউলি আছে।
সুতরাং প্রদত্ত নমুনা Funaria এর রেণুধরের লম্বচ্ছেদ।
Pteridophyta: Workout and Spotting:
২.কান্ড ঋজু ও দ্যগ্রশাখা যুক্ত।
পাতা দুই ধরনের: পর্ণ পত্র ও রেণুপত্র। রেণুপত্র গুলো পর্ণ পত্রের চেয়ে ছোট।
৩. কান্ডের অগ্রভাগে রেণুপত্র গুলো ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে স্ট্রবিলাস গঠন করে।
৪.রেণুপত্রে লিগিউল নেই ।
জনন অঙ্গের গঠন:
১. স্ট্রবিলাসের কেন্দ্র বরাবর একটি অক্ষ আছে।
২.অক্ষের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে রেণুপত্র সাজানো আছে।মূলত রেণুপত্র গুলো সর্পিলাকারে বিন্যস্ত।
৩. রেণুপত্র গুলো লিগিউল বিহীন।
৪ প্রতি রেণুপত্রের উপরিতলে একটি করে রেণুস্থলি আবদ্ধ থাকে।
৪. স্ট্রবিলাসের সকল রেণুস্থলি এক প্রকারের ও এক ধরনের ছোট ছোট রেণু যুক্ত, অর্থাৎ সমরেণুপ্রসু।
৫. সবচেয়ে উপরের / অগ্রভাগের রেণুস্থলি অপরিনত হয়।
৬. উদ্ভিদের অন্তর্গঠনে নালিকাবান্ডিল আছে।
সনাক্তকরণ:
১. উদ্ভিদটি একটি রেণুধর।
২. কান্ড ঋজু ও দ্যগ্রশাখা যুক্ত, প্রতিটির অগ্রভাগে স্ট্রবিলাস আছে।
৩. রেণুপত্র লিগিউল বিহীন।
৪.রেণুস্থলি গুলো এক ধরনের।
৫. রেণুধর সমরেণুপ্রসু।
৬. নালিকাবান্ডিল আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত রেণুধর লাইকোপোডিয়াম নামক একটি টেরিডোফাইটা ।
স্পেসিমেন ২
অঙ্গসংস্থান:
(১) প্রদত্ত উদ্ভিদ নমুনাটি মূল, কান্ড ও পাতায় বিভেদিত।
(২) কান্ডের অধিকাংশ শায়িত, অগ্রভাগে ঋজু।
(৩) কান্ড দ্ব্যগ্রশাখান্বিত।
(৪) পাতা অনেক,ক্ষুদ্র ও লিগিউল নামক উপাঙ্গ বিশিষ্ট।
(৫) কান্ড থেকে রাইজোফোর বেরিয়েছে।
(৬) কান্ডের ও পার্শীয় শাখার অগ্রভাগে রেণুপত্র ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে স্ট্রবিলাস গঠন করেছে।
স্ট্রোবিলাসের গঠন:
লম্বচ্ছেদে দেখা যায়:
(১) কেন্দ্রীয় অক্ষের উপর রেণুপত্র গুলো সাজানো।
(২) প্রতি রেণুপত্রের উপরিতলে একটি করে রেণুস্থলি আবদ্ধ।
(৩) নিচের রেণুস্থলি আকারে বড় ,মেগারেণুস্থলী। উপরের গুলো ছোট মাইক্রোরেণুস্থলী।
(৪) প্রতি রেণুপত্রের উপরিতলে একটি করে লিগিউল আছে।
(৫) মেগারেণুস্থলী ১-৪ টি বড় মেগারেণু ধারণ করে। তুলনায় মাইক্রোরেণুস্থলী অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাইক্রোরেণু বিশিষ্ট।
(৬) গঠনটি অসমরেণুপ্রসু।
সনাক্তকরণ:
(১) উদ্ভিদ মূল কান্ড ও পাতায় বিভেদিত।
(২) রাইজোফোর ও লিগিউল বিশিষ্ট।
(৩) মাইক্রোরেণুস্থলী ও মেগারেণুস্থলী সহজেই বিভেদিত।
(৪) রেণু ২ প্রকারের, অর্থাৎ অসমরেণুপ্রসু।
সুতরাং, প্রদত্ত রেণুধর উদ্ভিদটি Selaginella নামক টেরিডোফাইটা।
স্পেসিমেন ৩:
বহিরাকৃতি:
(১) মূল,কান্ড ও পাতায় বিভেদিত স্থলজ বিরুৎ।
(২) রাইজোম শল্কপত্র দিয়ে আবৃত।
(৩) পাতা যৌগিক,সচূড়পক্ষল ও ভল্লাকার।
(৪) পত্রমূল র্্যামেন্টা দিয়ে আবৃত।
(৫) অপরিনত পাতা বা ফ্রন্ড কুন্ডলিত মুকুল পত্রবিন্যাস বিশিষ্ট।
(৬) পত্রকের নিচের তলে কিনারায় সারিবদ্ধভাবে সিনোসোরাস আছে।
(৭) পত্রক কিনারা বেঁকে অপ্রকৃত ইন্ডুসিয়াম তৈরি করে।
পত্রকের প্রস্থচ্ছেদে দেখা যায় যে:
(১) ঊর্ধ্ব ও নিম্ন এপিডারমিস এক সারি কোষ দিয়ে গঠিত।
(২) ঊর্ধ্ব এপিডারমিস কিউটিকল বিশিষ্ট।
(৩) নিম্ন এপিডারমিস স্টোমা বিশিষ্ট।
(৪) দুই এপিডারমিসের মাঝে মেসোফিল আছে।
(৫) পত্রকের কিনারায় নিম্ন তলে প্লাসেন্টা দিয়ে বৃন্তযুক্ত রেণুস্থলি লাগানো আছে।
(৬) রেণুস্থলি গুলো সিনোসোরাস গঠন করে।
(৭) সিনোসোরাস ঢাকা থাকে অপ্রকৃত ইন্ডুসিয়াম দিয়ে।
(৮) প্রতি রেণুস্থলি বৃন্ত ও ক্যাপসিউল বিশিষ্ট।
(৯)ক্যাপসিউল প্রাচীর অ্যানুলাস ও স্টোমিয়ামে বিভেদিত।
(১০) রেণু গুলো সমরেণুপ্রসু প্রকৃতির।
(১১) নালিকাবান্ডিলে জাইলেম গুলো ফ্লোয়েম দিয়ে আবৃত।
সনাক্তকরণ:
(১) রেমেন্টা আছে।
(২) অপরিনত পাতা কু্ন্ডলিত মুকুল পত্রবিন্যাস বিশিষ্ট।
(৩) সিনোসোরাস ও অপ্রকৃত ইন্ডুসিয়াম আছে।
(৪) নালিকাবান্ডিল আছে।
(৫) রেণুধর সমরেণুপ্রসু।
সুতরাং, প্রদত্ত রেণুধর উদ্ভিদটি Pteris নামক টেরিডোফাইটা।
স্পেসিমেন ৪
কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ:
(১) কান্ডের পরিধি ঢেউখেলানো।
(২) এপিডারমিস, বাইরের কর্টেক্স , ভিতরের কর্টেক্স , এন্ডোডারমিস ও পিথ সুষ্পষ্ট।
(৩) এপিডারমিস এক কোষ স্তরী, কোষ প্রাচীর সিলিকা যুক্ত। বাইরের দিকে কিউটিকল আছে।
(৪) বাইরের কর্টেক্সে অবতল স্থানে এপিডারমিসে স্টোমা ও নিচে ক্লোরেনকাইমা ও উত্তল স্থানে স্ক্লেরেনকাইমা থাকে।
(৫) ভিতরের কর্টেক্সে উত্তল স্থানের বিপরীতে বায়ুপূর্ণ ভ্যালিকিউলার ক্যানাল থাকে।
(৬) এন্ডোডারমিস স্টিলি ও কর্টেক্সকে আলাদা করে।
(৭) স্টিলিতে ক্যারিনাল ক্যানাল ভ্যালিকিউলার ক্যানালের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সাজানো আছে।
(৮) পরিণত কান্ডের কেন্দ্রে জলপূর্ন সেন্ট্রাল ক্যানাল রূপে পিথ অবস্থান করে।
সনাক্তকরণ:
(১) কান্ডপ্রাচীর ঢেউ খেলানো।
(২) ভ্যালিকিউলার, ক্যারিনাল ও সেন্ট্রাল ক্যানাল আছে। সুতরাং, প্রদত্ত উদ্ভিদের স্লাইডটি নমুনা ইকুইসিটামের কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ।
জননাঙ্গের গঠন:
চিত্র স্ট্রোবিলাসের লম্বচ্ছেদ
(১) প্রধান অক্ষের উপর ছত্রাকৃতির স্পোরাঞ্জিওফোর গুলো বৃত্তাকারে সাজানো আছে।
(২) স্পোরাঞ্জিওফোর গুলো অক্ষের সাথে ৯০° কোণ তৈরি করে।
(৩) প্রতিটি স্পোরাঞ্জিওফোর এর তলায় রেণুস্থলি ৯০° কোণে লাগানো আছে ।
(৪) রেণুস্থলি গুলো সমরেণুপ্রসু ও লম্বাটে।
(৫) সমগ্র গঠনের নিচে বলয়াকারে পত্রাকার অ্যানুলাস লাগানো আছে।
সনাক্তকরণ:
(১) কেন্দ্রীয় অক্ষের উপর ছত্রাকৃতির স্পোরাঞ্জিওফোর গুলো ৯০°কোণে আবদ্ধ।
(২) স্পোরাঞ্জিওফোর গুলোর তলদেশে ৯০° কোণে স্পোরাঞ্জিয়া গুলো লাগানো আছে।
(৩) সমরেণুপ্রসু।
(৪) অ্যানুলাস আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা ইকুইসিটামের স্ট্রোবিলাসের লম্বচ্ছেদ।
Gymnosperm spotting:
Specimen 1
সনাক্তকরণ:
(১) প্রদত্ত নমুনাটি ইষৎ লম্বা ও কাষ্ঠল।
(২) নিচের দিকে ত্রিকোণাকার সরু বন্ধ্যা পাদদেশ আছে।
(৩) মাঝের চ্যাপ্টা প্রসারিত গঠন উর্বরা ও সোরাস বহনকারী।
(৪) উর্বরা গঠনের উপরে বন্ধ্যা অ্যাপোফাইসিস আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Cycas এর male sporophyll ।
Specimen 2
(১) পাতার মতো চ্যাপ্টা কাষ্ঠল গঠন।
(২) বাদামি র্্যামেন্টা দিয়ে আবৃত।
(৩) উপরের দিকে দুই প্রান্তে পক্ষল গঠন দেখা যায়।
(৪) মাঝামাঝি স্থানে ও বৃন্তের উপরিভাগে দুই পাশে একান্তর ভাবে ঊর্ধ্ব মুখী ডিম্বক উৎপন্ন হয়।
(৫) ডিম্বক গোলাকার, বাদামি বর্ণের ও ডিম্বকরন্ধ্র বিশিষ্ট।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Cycas এর স্ত্রীরেণুপত্র।
Specimen 3:
সনাক্তকরণ:
(২) ডিম্বক ত্বকটি /integument তিন স্তরে বিভক্ত।
(৩) মাইক্রোপাইল অঞ্চল ছাড়া সমগ্র গঠনে নিউসেলাস ও ইনটেগুমেন্ট একে অপরের সঙ্গে লাগানো।
(৪) নিউসেলাস এর উপরের দিকে নিউসেলীয় ঠোঁট ও পরাগ প্রকোষ্ঠ আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনাটি Cycas এর ডিম্বকের লম্বচ্ছেদ।
Specimen 4:
(১) গঠনটি কাষ্ঠল ও প্রায় গোলাকার।
(২) কেন্দ্রীয় অক্ষের উপর শল্কবৎ রেণুপত্র গুলো সর্পিলাকারে বিন্যস্ত ।
৩) প্রতিটি রেণুপত্র ক্ষুদ্র বৃন্ত ও পাতার মতো গঠন যুক্ত ।
(৪) রেণুপত্র গুলোর অগ্রভাগ উপরের দিকে বাঁকানো।
(৫) প্রতি রেণুপত্রের নিচে লম্বাটে রেণুস্থলি আছে।
(৬) রেণুস্থলির ভেতরের রেণুগুলি পক্ষযুক্ত।
সুতরাং প্রদত্ত নমুনা Pinus এর পু্্ রেণুপত্র মঞ্জরী।
Specimen 5:
(১) কেন্দ্রীয় অক্ষের উপর শল্কবৎ রেণুপত্র সর্পিলাকারে বিন্যস্ত।
(২) প্রতি রেণুপত্রের অগ্রভাগ উপরের দিকে বাঁকানো।
(৩) প্রতি রেণুপত্রের নিচে লম্বাটে রেণুস্থলি আছে।
(৪) রেণুস্থলির ভেতরে অনেক ছোট ছোট রেণু আছে।
(৫) প্রতি রেণু দ্বিপক্ষল।
সুতরাং, প্রদত্ত স্লাইড নমুনাটি Pinus এর স্টেমিনেট স্ট্রোবিলাসের লম্বচ্ছেদ।
Specimen 6:
(১)কাষ্ঠল গঠণ, বাইরের দিকে অনেক গুলো রম্বাস আকৃতির ডিম্বকধর শল্ক আছে।
(২)এই ডিম্বকধর শল্কের উপর দুটি করে পার্শ্বমুখ ডিম্বক তৈরী হয়েছে।
(৩) ডিম্বকধর শল্কের গোড়ায় একটি ছোট মঞ্জরীশল্ক আছে।
(৪)ডিম্বকধর শল্ক ও মঞ্জরীশল্ক মিলে একটি রেণুপত্র তৈরি করে।
(৫) রেণুপত্র গুলো সর্পিলাকারে কেন্দ্রীয় অক্ষের উপর বিন্যস্ত।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Pinus এর স্ত্রী রেণুপত্রমঞ্জরী।
Specimen 7:
(১) কেন্দ্রীয় অক্ষের উপর সর্পিলাকারে রেণুপত্র গুলো সাজানো হয়েছে।
(২) রেণুপত্র গঠিত হয়েছে একটি মঞ্জরীশল্ক ও একটি ডিম্বকধর শল্ক দিয়ে।
(৩) মঞ্জরীশল্ক রেণুপত্র গুলোর গোড়ায় লাগানো আছে।
(৪)ডিম্বকধর শল্ক পার্শ্বমুখ ডিম্বক বহন করে।
সুতরাং প্রদত্ত নমুনা Pinus এর স্ত্রী রেণুপত্রমঞ্জরীর লম্বচ্ছেদ।
Specimen 8:
সনাক্তকরণ:
(১) কেন্দ্রীয় অক্ষ পর্ব ও পর্বমধ্যে বিভক্ত।
(২) অক্ষের পাদদেশে দুইটি বিপরীতমুখী মঞ্জরীপত্র আছে ।
(৩) মঞ্জরীপত্রে আবর্তাকার সারিবদ্ধভাবে কলার আছে।
(৪) প্রতি কলারের কক্ষে মাইক্রোরেণুপত্র বলয়াকারে বিন্যস্ত।
(৫) প্রতি পুষ্পের গোড়ায় বহুকোষী রোম, প্যারিয়েন্ত্থ ও একটি দন্ডের মাথায় দুইটি রেণুস্থলি আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Gnetum এর male cone ।
Specimen 9:
সনাক্তকরণ:
(১) কেন্দ্রীয় অক্ষ পর্ব ও পর্বমধ্যে বিভক্ত।
(২) প্রতিটি পর্বে পরষ্পরের সঙ্গে যুক্ত বিপরীতমুখী মঞ্জরীপত্র আছে।
(৩) প্রতি পর্বের সামান্য উপরে বলয়াকারে কলার আছে।
(৪) প্রতি কলারের কক্ষে ৪-১০ টি ডিম্বক একটি বলয়ে বিন্যস্ত।
সুতরাং, প্রদত্ত নমুনা Gnetum এর female cone ।
Specimen 10:
(১) কেন্দ্রীয় নিউসেলাসকে ঘিরে তিনস্তরী আবরণী আছে।
(২) ভিতরের স্তরটি উপরের দিকে দীর্ঘ ও সরু হয়ে ডিম্বক রন্ধ্র নালী গঠণ করে।
(৩)ডিম্বক আবরণী নিচের দিকে নিউসেলাস থেকে আলাদা থাকে।
সুতরাং, প্রদত্ত স্লাইড নমুনাটি Gnetum এর ডিম্বকের লম্বচ্ছেদ।
Gymnosperm Workout
পত্রকের প্রস্থচ্ছেদ করে, দ্বিরঞ্জন পদ্ধতিতে রং করে ছবি এঁকে বিভিন্ন অংশ চিণ্হিত কর।
(১) কিউটিকলে আচ্ছাদিত ঊর্ধ্বত্বক ও নিম্নত্বক সুস্পষ্ট।
(২)নিম্নত্বকে নিমজ্জিত পত্ররন্ধ্র আছে।
(৩) ঊর্ধ্বত্বকের নিচে স্ক্লেরেনকাইমার তৈরি অধঃত্বক আছে।
(৪) অধঃত্বকের নিচে প্যালিসেড প্যারেনকাইমা ও নিম্ন ত্বকের উপরে স্পঞ্জী প্যারেনকাইমা আছে।
(৫) উভয় প্রকারের প্যারেনকাইমার মাঝে আড়াআড়ি ভাবে ট্রান্সফিউশন কলা আছে।
(৬) কেন্দ্রীয় নালিকা বান্ডিল সংযুক্ত,সমপাশ্বীয় ও মেসার্স প্রকৃতির।
সনাক্তকরণ :
(১) দুই ত্বক কিউটিকলে আচ্ছাদিত।
(২) নিম্নত্বকে নিমজ্জিত পত্ররন্ধ্র আছে।
(৩) আড়াআড়ি করে সাজানো ট্রান্সফিউশন কলা আছে।
সুতরাং, এইটি সাইকাসের পত্রকের প্রস্থচ্ছেদ।
Spotting from Fossils
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) পরিধিতে পেরিডার্ম আছে, তার নিচে গাঢ় প্রাচীর যুক্ত বহিঃকর্টেক্স ও পাতলা প্রাচীর যুক্ত অন্তঃকর্টেক্স আছে।
(২) সাইফনো স্টিলি , কেন্দ্রীয় মজ্জাকে বেষ্টন করে এন্ডার্ক জাইলেম ও ক্যারিনাল ক্যানেল সহ নালিকাবান্ডিল বলয়াকারে বিন্যস্ত।
সুতরাং প্রদত্ত নমুনা Calamities এর কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ।
Specimen 2
(১) পরিধি বরাবর বহুস্তরী পেরিডার্ম ও কেন্দ্রীয় প্রোটোস্টিলি সুষ্পষ্ট।
(২) কর্টেক্স অন্তঃ , মধ্য ও বহিঃ অঞ্চলে বিভেদিত।
সুতরাং, প্রদত্ত ফসিলটি Lepidodendron এর কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ নির্দেশ করে।
ANATOMY OF PLANTS
Ecological Anatomy
Specimen 1
বৈশিষ্ট্য সমূহ:
(ক) ঊর্ধ্ব ও নিম্নত্বক আছে।
(খ) ঊর্ধত্বকে গাঢ় কিউটিকল আছে,কোন পত্ররন্ধ্র নেই।
(গ) ভূমিকলা ক্লোরোফিল যুক্ত মেসোফিল জাতীয়।
সুতরাং, এটি একটি পাতা।
(ঘ) ঊর্ধত্বকের সঙ্গে সমকোণে কোষান্তর রন্ধ্রহীন স্তম্ভাকার প্যালিসেড প্রকৃতির কোষ আছে।
(ঙ) প্যালিসেড প্যারেনকাইমার নিচে কোষান্তর স্থান সহ স্পঞ্জীস্তর আছে।
(চ) নিম্নত্বকে পত্ররন্ধ্র আছে।
সুতরাং,পাতাটি বিষমপৃষ্ঠ।
(ছ) ঊর্ধত্বক বহুস্তরী।
(জ) ঊর্ধত্বকের ভিতরের স্তরের কিছু কোষ স্ফীত ও বড় হয়ে লিথোসিস্টে পরিনত হয়েছে।
(ঝ) লিথোসিস্টে ছাদে আঙ্গুরের থোকার মতো রেচন বস্তু কেলাস আকারের ক্যালসিয়াম কার্বনেট বা সিস্টোলিথ একটি বৃন্তের দ্বারা ঝুলে আছে।
সুতরাং, প্রদত্ত পাতাটি জাঙ্গল বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
Minor Anatomy
পরীক্ষায় ১+১ মার্কের জন্য লিখবে:
(১) ঊর্ধত্বকের ভিতরের স্তরের কিছু কিছু কোষ স্ফীত হয়ে লিথোসিস্টে পরিনত হয়েছে।
(২) লিথোসিস্টের ছাদ থেকে বৃন্তের দ্বারা আঙ্গুরের থোকার মতো রেচনবস্ত কেলসিয়াম কার্বনেটের কেলাস জমা হয়েছে।
চিত্র: করবি পাতার প্রস্থচ্ছেদের একাংশ
(ক) ঊর্ধ ও নিম্নত্বক আছে।
(খ) ঊর্ধত্বকে গাঢ় কিউটিকল আছে, কিন্তু কোন পত্ররন্ধ্র নেই।
(গ) ভূমিকলা ক্লোরোফিল যুক্ত মেসোফিল জাতীয়।
সুতরাং এটি একটি পাতা।
(ঘ) মেসোফিল কলা প্যালিসেড ও স্পঞ্জীস্তরে বিভেদিত।
সুতরাং পাতাটি বিষমপৃষ্ঠ।
(ঙ) দুই ত্বকই বহুস্তরী।
(চ) নিম্নত্বক মাঝে মাঝে ভাঁজ হয়ে পত্ররন্ধ্র গহ্বর তৈরি করেছে।
(ছ) গহ্বরের পত্ররন্ধ্র গুলো নিমজ্জিত প্রকৃতির।
(জ) পত্ররন্ধ্র গহ্বরের বহিঃত্বক থেকে অনেক রোম তৈরি হয়েছে।
(ঝ) দুই ত্বকের কিউটিকল অনেক গাঢ়।
সুতরাং, পাতাটি বাস্পমোচন প্রতিরোধ করে জাঙ্গল বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
Minor Anatomy
পরীক্ষায় ১ +১=২ মার্কের জন্য লিখবে:
(১) দুই ত্বক বহুস্তরী ও কিউটিকল বিশিষ্ট।
(২) নিম্নত্বক নিমজ্জিত পত্ররন্ধ্র বিশিষ্ট ও গহ্বর ত্বকে বাস্পমোচন প্রতিরোধী রোম আছে।
সুতরাং পাতাটি বাস্পমোচন রোধ করার জন্য জাঙ্গল অভিযোজন নির্দেশ করে।
Specime 3 (Minor Anatomy)
(১) ভূমিকলায় বড় বড় বায়ু গহ্বর আছে।
(২) এপিডারমিসের কিউটিকল খুব পাতলা, নালিকাবান্ডিলে জাইলেমের পরিস্ফুটন সুষ্পষ্ট নয়।
সুতরাং প্রদত্ত নমুনা জলজ অভিযোজন নির্দেশ করে।
Major Anatomy
Specimen:1
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে পরিধি থেকে কেন্দ্রের দিকে পর্যায়ক্রমে নিচে বর্ণিত কলাগুলি দেখা যায় -
(১) এপিডারমিস: এক স্তর ঘনসন্নিবিষ্ট প্যারেনকাইমা কোষ নিয়ে রোমহীন, কিউটিকল ও পত্ররন্ধ্র বিশিষ্ট গঠন।
(২)ভূমিকলা: কোষান্তর স্থান বিশিষ্ট প্যারেনকাইমা দিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। এপিডারমিসের নিচে পরিধি বরাবর স্থানে স্থানে স্ক্লেরেনকাইমার গুচ্ছ ও স্টোমাটার ঠিক নিচে একান্তর ভাবে ৩-৪ স্তর ক্লোরেনকাইমা অবস্থান করে। বাকি অংশ তৈরি হয়েছে নালিকাবান্ডিল ও প্যারেনকাইমা নিয়ে। ভূমি কলার মধ্য কেন্দ্রীয় স্থান ফাঁপা।
(৩) নালিকাবান্ডিল: দুইটি আবর্তে নালিকাবান্ডিল গুলো সাজানো। বাইরের আবর্তের বড় গুলো স্ক্লেরেনকাইমার গুচ্ছের মধ্যে আর ভেতরের আবর্তের ছোট বান্ডিল গুলো প্যারেনকাইমার মধ্যে অবস্থিত। প্রতি বান্ডিল সংযুক্ত, সমপার্শীয়, বদ্ধ এবং এন্ডার্ক প্রকৃতির। জাইলেম (Y) আকৃতির।বান্ডিল গুলোকে ঘিরে স্ক্লেরেনকাইমার বান্ডিলসিথ আছে।
সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য:
(১) নালিকাবান্ডিল গুলো সংযুক্ত ও সমপার্শীয়।
(২) নালিকাবান্ডিল গুলো ক্যাম্বিয়ামহীন অর্থাৎ বদ্ধ ও এন্ডার্ক প্রকৃতির।
সুতরাং,ইহা একবীজপত্রী কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ নির্দেশ করে।
Comments
Post a Comment