Classification of Seeds
যে কোন ফসল উৎপাদন করতে গেলে বীজের প্রয়োজন হয় । বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে চাষাবাদ করা সবচেয়ে সহজ ও সস্তা উপায়, তাই বীজের চাহিদা বেশি।
উৎপাদন পদ্ধতি, উৎপাদকের পার্থক্য ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বীজ কয়েক প্রকারের হয়:
এই প্রকারের বীজ মূল উৎপাদক তার কর্মস্থানে , অর্থাৎ তিনি যে রিসার্চ সেন্টার কাজ করেন বা যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ করেন সেখানেই প্লান্ট ব্রিডিঙ করিয়ে নতুন এক ভ্যারাইটির বীজ তৈরি করেন যা Distal parent বা Nucleus Seed. নামে পরিচয় পায়।
(খ) এই প্রকারের বীজ বাজারে বিক্রি করা হয় না , তাই প্যাকেটে কোন ধরনের ট্যাগ লাগানো হয় না, তাই ট্যাগের সাইজ ও রঙের প্রশ্ন অবান্তর।
(গ) এই বীজ থেকেই ব্রিডার সীড উৎপাদন করা হয়।
(২) ব্রিডার সীড Breeder Seed:
(ক) মূল উৎপাদক বা স্পন্সর্ড প্লান্টব্রিডার নিউক্লিয়াস বীজ থেকে ব্রিডার সীড বা ব্রিডার সীড ১ থেকে ব্রিডার সীড ২ ,এই প্রকারের বীজ উৎপাদন করে।
(গ) ICAR, NSC ,SFCI তে এই প্রকারের বীজ উৎপাদন করা হয় ।
(গ) প্যাকেটে ১২ সেমি x ৬ সেমি আয়তনের ট্যাগ লাগানো হয়।
(ঘ) এই ট্যাগের রং Golden Yellow ।
(ঙ) জেনেটিক ও ফিজিক্যাল পিউরিটি ১০০% ।
(৩) ফাউন্ডেশন সীড Foundation Seed:
সিরিজের তৃতীয় ধাপে ব্রিডার সীড থেকে যে বীজ উৎপাদন করা হয় ফাউন্ডেশন বীজ নামে পরিচিত। ফাউন্ডেশন সীড ১থেকে ফাউন্ডেশন সীড ২ তৈরী করা হয়।
(ক) এই বীজ তৈরী করে SFCI,NSC, SSC, Cooperative agencies, Private sector , ইত্যাদি ।
(গ) State Seed Corporation এর সার্টিফিকেট প্রদান করে যা অতি আবশ্যক।
(ঘ) প্যাকেটের গায়ে সাদা রঙের ট্যাগ লাগানো থাকে।
(ঙ) ট্যাগের সাইজ ১৫ সেমি x ৭.৫ সেমি।
(চ) জেনেটিক পিউরিটি ৯৯.৫%-৯৯.৯% আর ফিজিক্যাল পিউরিটি ৯৮% ।
(৪) সার্টিফাইড সীড Certified Seed:
(খ) সাধারণত কৃষকরা এই বীজ উৎপাদন করে।
(গ) State Seed Certification Agency এর প্রদান করা সার্টিফিকেট আবশ্যক।
(ঘ) জেনেটিক পিউরিটি ৯৯% আর ফিজিক্যাল পিউরিটি ৯৮% ।
(ঙ) ট্যাগের সাইজ ১৫ সেমি x ৭.৫ সেমি ।
(চ) ট্যাগের রং Azar blue ।
আমাদের ভারতবর্ষে উপরিউক্ত বীজের প্রকারভেদ দেখা যায়। বিদেশে আরো এক ভ্যারাইটির বীজ উৎপাদন করা হয় যা Registered Seed নামে পরিচিত।
(৫) রেজিস্টার্ড সীড:
(খ) ট্যাগের রং Opal blue / purple, আর সাইজ ১৫ সেমি x ৭.৫ সেমি।
Comments
Post a Comment