Phytogeographical Regions Of India

       ম্যাপ : ভারতের Phytogeographical regions সমূহ (D.Chaterjee,1960) -এর মতে।

 উদ্ভিদবিজ্ঞানের যে শাখায় নিজ হ্যাবিটেটে কোন উদ্ভিদ প্রজাতির উদ্ভব ও বিস্তার সম্পর্কে অধ্যয়ন করা হয় ,তাকে Phytogeography বলে (Wulf,1943) আর নির্দিষ্ট অঞ্চল গুলিকে বলা হয় Phytogeographical regions
     D.Chatterjee ,1939 সালে  "Studies on Endemic Flora of India" নামের গবেষণাপত্রে বৃটিশ ভারতকে মোট ১০টি (10) অঞ্চলে ভাগ করেন:----
(১) দাক্ষিণাত্য (Deccan)
(২) মালাবার(Malabar)
(৩) সিন্ধু উপত্যকা (Indus Plain)
(৪) গাঙ্গেয় উপত্যকা (Gangetic Plain)
(৫)আসাম (Assam)
(৬) পূর্ব হিমালয়(Eastern Himalaya)
(৭)মধ্য হিমালয় (Central Himalaya)
(৮)পশ্চিম হিমালয় (Western Himalaya)
(৯)ঊর্ধ্ব বার্মা(Upper Burma)
(১০)নিম্ন বার্মা(Lower Burma)
     D.Chatterjee ,1960 সালে যে পরিমার্জিত অঞ্চলগুলির বর্ণনা দেন সেইটিতে Upper Burma ও Lower Burma বাদ দেন ,ফলে মোট ৮টি (8) অঞ্চলের উল্লেখ করেন । তাছাড়া পাকিস্তান ও অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত অঞ্চল গুলিকে বাদ দেন , ফলে Indus Plain অঞ্চলে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাবের আর্দ্র অঞ্চলই থেকে যায়। অনুরূপভাবে Western Himalaya অঞ্চল থেকে NWFP(North-West Frontier province ) ও Gengetic Plain থেকে পূর্ববঙ্গ ও সুন্দরবনের একটি বড় অংশ বাদ পড়ে ।
(১)Deccan : বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু,অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, পূর্ব কর্ণাটক,মধ্য ও পূর্ব মহারাষ্ট্র , দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ,পশ্চিম উড়িষ্যা ও ছত্রিশগড়ের এক ভাগ এর অন্তর্ভুক্ত। গড় বৃষ্টিপাত ৭৫-১২৫ সেমি, অন্ধ্র ও তামিলনাড়ুতে Tropical dry evergreen forest-এ Mimusops elengi, Derris scandens, ইত্যাদি ও বুন্দেলখন্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু স্থানে  Tropical thorn বনে Capparis decadua, Albizzia, Acacia ইত্যাদি জন্মায়।
(২)Malabar: বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২৫০ সেমি -এর বেশি,তাই পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমাঞ্চল , কর্ণাটক রাজ্যের কিছু স্থানে Tropical wet evergreen forestএ বড় বড় বৃক্ষ, ছোট বৃক্ষ , গুল্ম, পরাশ্রয়ী,রোহিণী, কাষ্ঠললতা, ইত্যাদি জন্মায়। কেরালা ও কর্নাটকের বন Tropical moist deciduous প্রকৃতির হয়, Terminalia, Tectona,Albizzia Dalbergia,Santalum album (শ্বেত চন্দন ) শাল , ইত্যাদি বেশি জন্মায়। কেরল থেকে শুরু করে কর্ণাটক ,গোয়া , মহারাষ্ট্র , দক্ষিণ গুজরাটের উপকূলীয় এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত।
(৩)Indus Plain : বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২৫-৭৫ সেমি, মাটি কাঁকড়যুক্ত তাই Tropical thorn forest এ Acacia nilotica,A.catechu,Lantana, Calotropis, Opuntia প্রভৃতির প্রাধান্য দেখা যায়। পাঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তররদেশে Acacia catechu (খয়ের) Terminalia tomentosa, Woodfordia floribanda ইত্যাদি জন্মায়।
(৪)Gangetic Plain :উত্তর প্রদেশ,বিহার, উড়িষ্যা রাজ্যের পূর্বভাগ ও পশ্চিমবঙ্গ এর অন্তর্ভুক্ত। সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ প্রজাতির আধিক্য দেখা যায়, যেমন- সুন্দরী,কেওড়া,খলসি, হার গোজা, ইত্যাদি। উত্তর প্রদেশ, বিহার , পশ্চিম বাংলায় আবাদী উদ্ভিদ বেশি দেখা যায়।
(৫) Assam : উত্তর -পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি এর অন্তর্ভুক্ত ।আসামের কাছাড়, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা, ইত্যাদি স্থানে Tropical wet evergreen forest এ গর্জন, সেগুন,আম, কাঁঠাল,আমলকি ,বহেরা, বট, ছাতিম, ডুমুর বাশ,বেত ইত্যাদি জন্মায়। উত্তর আসামে গড় বৃষ্টিপাত ২০০-২৫০সেমি, ফলে Tropical moist semi evergreen forest এ Schima wallichii, Bauhinia, Michelia , ইত্যাদি জন্মায়। হিমালয় পর্বতের পাদদেশে, খাসী পাহাড়, জয়ন্তিয়া পাহাড় , লুসাই পাহাড়ে ও মনিপুরে Sub tropical Pine forest এ Pinus khasya ,Pinus roxburghii,Quercue incana,Q. griffithii ইত্যাদি জন্মায়। ত্রিপুরা, মণিপুর ও উত্তর আসামে Sub tropical Broad leaved forest দেখা যায়। অরুণাচল প্রদেশে অকিডের প্রাচুর্য দেখা যায়।
(৬)East Himalaya:  অরুণাচল প্রদেশের মিশমি পাহাড় (কামেঙ, সুবণসিরি, সিয়াঙ ও লোহিত জেলা),  সিকিম ও দার্জিলিং হিমালয়  অঞ্চল নিয়েই পূর্ব হিমালয় অঞ্চল। অর্থাৎ এর বিস্তার লোহিত নদ থেকে নেপালের পূর্ব সীমান্তের সিঙ্গলীলা পর্বত পর্যন্ত ।  উচ্চতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের কারণে বনের প্রকারভেদ হয়:--
 (ক) ৭০০-৯০০ মি.উচ্চতা ,  শাল গাছের আধিক্য Rain green decidous বনে দেখা যায়। ১৫০০ মি. পর্যন্ত বনে Callicarpa arborea, Eupatorium odoratolum ইত্যাদি জন্মায়।
(খ) Rhododendron arboreum ১২০০ মি. উচ্চতায় ও ১৫০০-১৭০০মি.উচ্চতার Subtropical বনে বেশি করে জন্মায়  Constanopsis indica , ওক / Quercus glauca, Schima wallichii ইত্যাদি।
(গ) ২১০০-২৩০০মিটার উচ্চতায় Castanopsis histrix,C.tribuloides ইত্যাদি ও ২৩০০-২৮০০ মি. উচ্চতায় Quercus lineata, Q.lamelosa ,Ilex fragilis ইত্যাদি নিয়ে Evergreen Oak forest তৈরি হয়েছে।
(ঘ)২৫০০মি. এর উপরের বনে Rhododendron lanatum, R.wightii ও ২৯০০ -৩৮০০ মিটারে  Abies sectabilis, Rosa sericea, Juniperus , Betula   ইত্যাদি জন্মায়।এর উপরের তৃণভূমিতে Arundimella , Cymbopogon ইত্যাদি জন্মায়।৪০০০-৫০০০মি উচ্চতায় Juniperus squamata, Rhododendron জন্মায়। 
(৭)Central Himalaya : নেপাল হিমালয়ে ১০০- ২০০ সেমি. বৃষ্টিপাত হয় ও ১৫০০ - ৩০০০ মিটার উচ্চতায় Quercus incana,Q.dilatata, Pinus roxburghii,. P. wallichiana , Cedrus deodara ইত্যাদি জন্মায়।
(৮)West Himalaya: কুমায়ুন থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত অর্থাৎ উত্তরাক্ষন্ডের গাড়োয়াল , হিমাচল প্রদেশ,লাদাখ,জম্মু ও কাশ্মীর এর অন্তর্ভুক্ত । বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১০০সেমির কম স্থানে Dry temperate forest Pinus gerardiana , Cedrus deodara ,Picea smithiana ,Pinus wallichii ইত্যাদি ১৯০০-৩০০০মি উচ্চতায় জন্মে । ৯০০ মি উচ্চতায় শাল বন ও ৮০০-১৬০০ মিটারে Pinus roxburghii জন্মায়।গন্ডকি নদীর পশ্চিমে দক্ষিণ ঢালে Aesculus indica, Juglans regia ইত্যাদি ও ঘাঘরা নদী অববাহিকায় Populus ciliata, Ulmus wallichiana ইত্যাদি  Evergreen বনে জন্মায়। এর উপরের উচ্চতায় ৩২০০-৪২০০ মি স্থানে Juniperpus, Rhododendron, মস, লাইকেন ইত্যাদি জন্মায়।
      Mani & Chatyerjee , 1978 সালে যে বর্ণণা দেন তাতে 10টি অঞ্চলের উল্লেখ করা হয়:---
(১) North West Himalaya
(২) West Himalaya
(৩)Central Himalaya
(৪)East Himalaya
(৫)Indus Plain
(৬)Gangetic Plain
(৭)Assam
(৮) Central India & Deccan
(৯) Malabar
(১০)Andaman & Nicobar Islands: এই অঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২৫০ সেমি এর বেশী ও গড় তাপমাত্রা ২৭°C তাই এখানে Tropical wet evergreen forest তৈরি হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

বোটানি প্র্যাকটিকেল ( বাংলায় ) BSc Tripura University

Under Graduate Botany (Major ) , 1st Semester. Microbiology#Phycology By Prasenjit Sinha

Plant Biotechnology and Tissue Culture